বৈঠক শেষে নিচের দোয়া পাঠ করা:
“سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَلَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ”
উচ্চারণ: “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা, ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আললাইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইক” ।
অর্থাৎ: “হে আল্লাহ আপনি পুতপবিত্র এবং আপনার প্রশংসার সাথে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি ছাড়া কোন সত্য মা’বুদ নেই, আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করছি এবং আপনার কাছে তাওবা করছি”।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: বৈঠক শেষে এই দোয়াটি পাঠ করলে বৈঠকে সংগঠিত সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (সুনান আল-তিরমিযী: ৩৪৩৩) । শায়খ আলবানী (র.) হাদিসটিকে ‘সহীহ‘ বলেছেন।
আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমানের অর্থ হলো: আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে তিনি নিজে যা বলেছেন এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) যা বলেছেন তা কোন ধরণের বিকৃতিকরণ, আকৃতি প্রদান, সাদৃশ্যকরণ এবং বাতিলকরণ ছাড়া হুবহু মেনে নিয়ে বিশ্বাসস্থাপন করা। (আক্বীদাহ আল-ওয়াসিতিয়্যাহ, ইবনু তাইমিয়্যাহ) ।
যেমন: “আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর” (সূরা ফাত্হ: ১০) । এখানে ‘আল্লাহর হাত’ এ আয়াতাংশ ঘিরে নিম্নের তাফসীর করা:
(ক) ‘আল্লাহর হাত’ এর অর্থ ‘তাঁর শক্তি’। (বিকৃতিকরণ)
(খ) কল্পিত একটি আকৃতি দিয়ে তাঁর হাতের ব্যাখ্যা দেওয়া। (আকৃতিপ্রদান)
(গ) ‘আল্লাহর হাত’ মানুষের হাতের মতো। (সাদৃশ্যকরণ)
(ঘ) তিনি হাতের প্রতি মুখাপেখী নন। (বাতিলকরণ)
উল্লেখিত চারটি তাফসীরই বাতিল বলে গণ্য হবে। সঠিক ব্যাখ্যা হলো: তাঁর হাত আছে, এ কথা বিশ্বাস করা। কিন্তু তা কি রকম আমরা তা জানি না, কারণ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তা বলেন নি।